এবার রংপুরের বাজারে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে দুদিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি দাম কমেছে ২৫-৩০ টাকা। একইসঙ্গে কমেছে ডিম ও মুরগির দাম। এছাড়া অপরিবর্তিত আছে চাল, ডাল, মাছ-মাংস ও তেল। গতকাল মঙ্গলবার ৬ জুন রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকা কেজি দরে। যা দুদিন আগেও ছিল ১০০ টাকা।
গত সোমবার ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। তবে রংপুরের বাজারে এখনো সেই পেঁয়াজ না এলেও দাম কমতে শুরু করেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, রাতের মধ্যে ভারতীয় পেঁয়াজ এলে দাম আরও কমার সম্ভাবনা আছে। এদিকে বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি ১৮০-১৯০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ২৯০-৩০০ টাকা থেকে কমে ২৭০-২৮০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫৭০-৫৮০ টাকা থেকে কমে ৫২০-৫৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
গত সপ্তাহের মতোই গরুর মাংস ৬৭০-৭২০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১০০০-১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৪-৪৫ টাকা। মুলাটোল আমতলা বাজারের মুরগি বিক্রেতা আমীর হোসেন বলেন, প্রচণ্ড গরম আর লোডশেডিংয়ের কারণে খামারিরা পোলট্রি মুরগি সংরক্ষণে হিমশিম খাচ্ছেন। এ কারণে বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। তাই দাম কিছুটা কমেছে।
সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি টমেটো গত সপ্তাহের চেয়ে দাম বেড়ে ৪৫-৫০ টাকা, চালকুমড়া আগের মতোই ৩০-৩৫ টাকা, চিকন বেগুন ৩৫-৪০ টাকা, গোল বেগুন ৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৫৫-৬০ টাকা, পেঁপে ৫০-৫৫ টাকা, করলা ৫০-৬০ টাকা, বরবটি ৩৫-৪০ টাকা, লেবু প্রতিহালি ৮-১০ টাকা, কাঁচামরিচ ৯০-১০০ টাকা, শুকনো মরিচ আগের মতোই ৪৫০-৫০০ টাকা, প্রতিপিস লাউ আকারভেদে ৪০-৫০ টাকা, কাঁচকলা হালি ২৫-৩০ টাকা।
এদিকে প্রতিকেজি মিষ্টিকুমড়া ২৫-৩০ টাকা, ঝিঙে ৩৫-৪০ টাকা, দুধকুষি আগের মতোই ৩৫-৪০ টাকা, সজনে ডাঁটা ৭০ টাকা থেকে বেড়ে ৯০-১০০, পটল ৪০-৪৫ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৩০ টাকা, কাঁকরোল ৪০-৫০ টাকা, আদা ২৭০-২৮০ টাকা থেকে বেড়ে ৩০০-৩২০ টাকা, দেশি রসুন ১৪০-১৫০ টাকা থেকে বেড়ে ১৬০-১৮০ টাকা এবং ভারতীয় রসুন ১৮০-২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সবধরনের শাকের আঁটি ১০-১৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।